
করোনাভাইরাস মহামারীর সংকটময় সময়ে বিশ্বজুড়ে চাঙ্গা স্বর্ণের বাজার। রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে এখন প্রতি ১ আউন্স (২.৪৩০৫ ভরি) স্বর্ণের দাম ১.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১,৮৬৫.৮১ ডলার। এর মাধ্যমে ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে স্বর্ণের দাম
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা , বিশ্ববাজারের সাথে তাল মিলিয়ে দেশীয় বাজারেও হু হু করে দাম বাড়ছে স্বর্ণের । করোনাভাইরাস মহামারীতে ইউএস ডলারের মূল্য পতনে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের এই উর্ধগতি।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা এর কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য বিনিয়োগ স্থবিরতা, তেল ও ডলারের দরপতনে স্বর্ণের বাজার অস্থির। ফলে রেকর্ড পরিমাণ দাম বেড়েছে স্বর্ণের।
ভারতে স্বর্ণের দামের বিষয়টি নির্ভর করে স্থানীয় খুচরা বাজারে চাহিদার ওপর । স্বর্ণের সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিক থেকে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়। স্বর্ণের এই দাম ২০১৯ সালের দাম থেকে ২৮ শতাংশ বেশি।
এছাড়াও স্বর্ণের চাহিদার শীর্ষে থাকা দেশগুলো(যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারত) চলছে বাণিজ্যযুদ্ধ। এ কারণেও দাম বাড়ছে স্বর্ণের । এমনকি ভবিষ্যতে স্বর্ণের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে তাও এই তিনদেশের বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনের উপর নির্ভর করছে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ জুন বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এক লাফে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পাঁচ হাজার ৭১৫ টাকা বাড়ানো হয়। অবশ্য দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর পরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ২০ ডলারের ওপরে বেড়েছে।
বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা হওয়ায় এখন বৈধপথে দেশে আমদানির সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি চালান এসেছে বলে জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
তাছাড়া স্বর্ণ এমন একটা পণ্য যার দাম কমে না, বরং বাড়ে। সে কারণে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে। যার প্রভাবে দামে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে বলে জানান দেশের অর্থনীতিবিরা ।
অর্থনৈতিক মন্দা বা রাজনৈতিক অস্থিরতায় ডলারের মান যখন দুর্বল হয়ে ওঠে, তখন স্বর্ণসহ নির্ধারিত বিভিন্ন ধাতুতে বিনিয়োগে নিরাপদ বোধ করেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে এসব ধাতুর দাম বাড়ে। আর ডলার শক্ত অবস্থানে থাকলে স্বর্ণসহ মূল্যবান ধাতুগুলোর দাম কমেযায় ।