
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্ভোগ বাড়ছে মানুষের। অসংখ্য মানুষ পানিবন্দি হয়ে কোনোমতে দিন পার করছেন। পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের ১৭টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।অথচ এই সময়ে মানুষের কোনো কাজকর্ম নেই। জমানো খাদ্য বা টাকা সবই শেষ। আরও কিছুদিন বন্যা স্থায়ী হলে চরম বিপাকে পড়বে মানুষ।
সরজমিনে মানিকগঞ্জ শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেসে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় এলকাবাসীকে ব্যাপক দূর্ভোগ পহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে মাহাদেবপুর ইউনিয়নের, ভবানীপর, দুবুলিয়া, বনোগ্রাম, কাউরাবিল, রকন্থাথপুর, সাইলী. রামনগর , মৌহালি, সারাসিন এবং বরংগাইলের নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত জনগন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা (বড়ধুলন্ডি. চৌবাড়িয়া কালাচাঁদপুর, বাঁশদিয়া)গ্রামের রাস্তাঘাট দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় মানূষের চলাফেরা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বন্যায় কবলিত এলাকা গুলোতে মানূষের খাদ্যের পাশাপাশি পশু খাদ্যের ও ত্রিব্র সংকট দেখা দিয়েছে। করোনা ভাইরাস ও বর্তমানে বন্যায় পানি কারনে নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানূষ কাজ কর্ম না থাকার কারনে তাদের কষ্টের শেষ নেই। মধ্যবিত্ত পরিবারের কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা গেসে (আবুবকর ৪৫) আমরা করোনার মধ্যে অনেক কষ্ট করে দিন চালাচ্ছি করোনা শেষ না হতে আবার এলো বন্যার পানি এখন কি করে সংসার চালাবো তা আল্লাহ জানে।আমাদের এলাকার সাধারণ গরীব মানূষ ও আমরা মধ্যবিত্তরা না পারছে সরকারি অনুদানের খাতায় নাম লেখাতে না পারছি নিজেরা চলতে স্হানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কথা কোন কান দিচ্ছে না সাহায্যের কথা বললে তারা হাসে । এভাবে বন্যার পানি দির্ঘদিন থাকলে আমাদের মরা ছাড়া গতি থাকবে না।
নিম্ন আয়ের আরো কয়েক জন জানায় করোনা মধ্যে দুই বার দশ কেজি চাউল কপালে মিলেছিল শুধু কি চাউল দিয়ে সংসার চলে? সাতজন পরিবারের সদস্য কিভাবে যে দিনপাত চলছে তা মহান আল্লাহ ছাড়া কেহ জানে না , করোনার মধ্যে লুকিয়ে লুকিয়ে কিছু কাজ করতাম তা দিয়ে সংসার চালাতাম। এখন বন্যায় পানি বন্দি হওয়ার কারনে কোন জায়গায় কাজ কর্ম করতে যেতে পারছি না।
স্হানীয় কয়েক জন জনপ্রতিনিধিরা জানায় ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা বন্যার পানি প্রবেশ করায় সরকারি অনুদান দিতে গিয়ে কিছুটা হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই এলাকার পানি বন্দি ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের সাহায্য কামনা করছি।