
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার শোলধারা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে বাড়ি, ডুবে গেছে ঘর। তাই লিয়া বেগম তার স্বামী সন্তান নিয়ে উঠেছেন স্কুল ঘরে। স্বামী জীবনের তাগিদে যখন কাজে চলে গেছে। স্ত্রী লিয়া বেগম তখন রান্না করছে স্কুলের বারান্দায়। পাশে স্কুলের মাঠে পানিতে আনন্দ করে গোসল করছে তাদের তিন সন্তান। নেই কোন দুঃখ নেই কোন চিন্তা। বন্যার পানি ওদের কাছে যেন এক আনন্দের পানি।
রাত পোহালে কুরবানির ঈদ। তবু্ও তাদের মাঝে নেই কোন ঈদের আমেজ। বাবা-মা কিনে দিতে পারেনি সন্তান্দের নতুন জামা, নতুন জুতা তবুও মনে নেই কোন কষ্ট। এখন তাদের একটাই স্বপ্ন দু-বেলা দু-মুঠো ভাত খেয়ে বেচে থাকার। সব আনন্দ উল্লাস কেরে নিয়েছে সর্বনাশা এই বন্যা ।
খেয়ে না খেয়ে কষ্টে কাটছে দিন কষ্টে কাটছে রাত। এদের পাশে দারানোর মতো নেই কোন মানুষ। পায়নি সরকারি কোন ত্রান সামগ্রী। তাদের একটাই চাওয়া। সরকারি ভাবে তাদের যেন ত্রান সামগ্রী দেয়া হয়।