
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ইউরোপ ও আমেরিকায় বেশকিছু দিন খুলনাঞ্চলের চিংড়িসহ হিমায়িত মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে এর পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
সুস্থ-সবল ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় অর্থনীতিতে এ সম্ভাবনাময় সেক্টরের ভূমিকা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। বলা যায়, এ দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি মৎস্যসম্পদ উন্নয়নের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে হিমায়িত মাছ রপ্তানি হয়েছিল ২৯ হাজার মেট্রিক টন। যার মূল্য ছিল ২ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। অপরদিকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রপ্তানি হয়েছে ২৯ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন।
করোনা ভাইরাসের কারণে ২ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন কম হওয়ায় তা রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি বলে জানায়, মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহা. মুজিনুর রহমান বলেন, ‘রপ্তানিকারকরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পর্যাপ্ত চিংড়ি রপ্তানি করতে পারে নাই। এজন্য তারা বেশকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজ সুবিধা সরকারি ব্যাংক দিলেও বেসরকারি ব্যাংকগুলো সহায়তায় এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ রপ্তানিকারকদের।
মডার্ণ সি ফুড লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল হক বলেন, ‘সরকারী ব্যাংক থেকে কিছু সাহায্য পেয়েছি আরো কিছু প্রসেস বাকি আছে কিন্তু বেসরকারি ব্যাংকে আমাদের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলো আমরা পাচ্ছি না।’
অন্যদিকে মৎস্য রপ্তানিকারক সমিতির নেতারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সহযোগিতা না পেলে রপ্তানিকারক ও চিংড়ি চাষি উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবীর বলেন, মার্চ, ‘এপ্রিল ও মে এই ৩ মাসের জন্য আমরা যে সমস্ত লেনদেন করেছিলাম অথবা যে সমস্ত বিক্রয় করার জন্য অর্ডারগুলো নিয়েছিলাম সেটা হঠাৎ করে বাতিল শুরু করলো। এবং এর সংখ্যা একদম নেহাত কম না ২৯০ টি কনফার্ম অর্ডার বাতিল হয়ে গেল যার পরিমাণ ছিলো প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।’
খুলনাঞ্চল থেকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি ছাড়াও কাঁকড়া, শুটকি মাছ, মাছ ও সামুদ্রিক মাছ বিদেশে রপ্তানি হয়।
এছাড়া মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও গ্রামীণ কর্মসংস্থান : দেশের মৎস্যসম্পদের কাক্সিক্ষত উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করে।