
করোনাকালীন তৈরি পোশাক খাতের আটকে যাওয়া অর্ডারের ৮০ শতাংশই পুনরায় রপ্তানি করেছে দেশীয় গার্মেন্টস মালিকেরা। যার বাজার মূল্য ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। পুরাতন অর্ডার ফিরে আসার পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতাদের নতুন অর্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে কম দামি পণ্যে অর্ডার তুলনামূলক বেশি আসায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সবশেষ জুন ও জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার টিইউএস কন্টেইনার পণ্য। শুধুমাত্র জুলাই মাসে গত ১৮ মাসের রেকর্ড ভেঙে ৭২ হাজার ৩৫৯ টিইউএস কন্টেইনার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আর রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগ তৈরি পোশাক।
করোনা সংক্রমণের শুরুর পর প্রথম চার মাসে অন্তত সাড়ে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্ডার বাতিল করে, পাশাপাশি অনেক অর্ডার স্থগিত করে বিদেশি ক্রেতারা। এখন পুরানো অর্ডারের কারণে এই খাতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরলেও নতুন অর্ডার নিয়ে কিছুটা সংশয়ে রয়েছে বিজিএমইএ।
এর আগে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৬ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় সব গার্মেন্টস কারখানা। তবে গত ২৬ এপ্রিল থেকে সীমিত আকারে গার্মেন্টসগুলো খুলে দেয়া হয়।