“সাধারণ সফল আর অসাধারণ সফলদের মধ্যে পার্থক্য হলো, অসাধারণ সফলদের ‘না’ বলার ক্ষমতা অসাধারণ”-ওয়ারেন বাফেট
স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শাহীন রেজা

আজ এমন একজন মানুষকে নিয়ে লিখতে বসেছি , যার হাজারো বিশেষণের মধ্যে আমার কাছে তিনি একজন অসাধারণ সফল ব্যক্তি। যার মাঝে আমি দেখেছি অন্যায় ও অস্বচ্ছতার বিরুদ্ধে না বলার ক্ষমতা। যিনি অসাধু প্রস্তাবনাকে না বলে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার আমার কাছে একজন অসাধারণ সফল ব্যক্তি। স্যারের কাছ থেকেই প্রথম শিখতে পেরেছি বৃত্তের বাইরে কিভাবে চিন্তা করতে হয়। গতানুগতিক চিন্তাধারার মাধ্যমে কখনো সফলতা আশা করা যায় না। যার উদাহরণ স্যারের কর্মজীবনের দিকে তাকালেই দেখা যায়।
তিনি ২০১৭ সালের ১৪ই জুন উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। দায়িত্বপ্রাপ্তির শুরু থেকেই নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। অবকাঠামোগত দিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষক ও ছাত্র বান্ধব করে গড়ে তুলতে স্যার নানান উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। একজন শিক্ষকের দায়িত্ব পাঠদান ও গবেষণায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা যার সুবিধার্থে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এণ্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট আরো সুগঠিত করার পাশাপাশি শিক্ষকদের আন্তর্জাতিক সেমিনার ও অনেক উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে নতুন আবাসিক হল ‘শেখ হাসিনা ছাত্রী হল’ নির্মাণাধীন, ক্লাসরুম ডিজিটালাইজেশন ( ভার্চুয়াল ক্লাসরুম ), বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি, সময়মত শিক্ষা সফরের জন্য বাজেট বরাদ্ধ, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি কথোপকথনের সুযোগ প্রদান। তাছাড়া এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিসের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য উইমেন পিস ক্যাফের যাত্রা যা এর আগে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়নি। এর পাশাপাশি প্রশিক্ষিত ট্রেইনার এর কাছে মেয়েদের আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য প্রশিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। যা অনেক আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয়েও নজিরবিহীন।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন মেডিকেল অফিসার ও একটি আইসিটি সেল অনেক গুরুত্ব বহন করে তা স্যার নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য অনেক সেমিনারের আয়োজনে সচেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। কিভাবে একজন মানুষ ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন তা স্যারকে না দেখলে বিশ্বাস হতোনা।
একজন ভিসি সাধারণত সপ্তাহে পাঁচদিন কাজে নিয়োজিত থাকেন কিন্তু স্যারকে গোটা সপ্তাহে কাজ করতে দেখেছি। স্যারের অনেক সফলতার মধ্য থেকে গুটি কয়েক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তা না হলে নিজের বিবেকের কাছে অপরাধী হতে হতো। গত ১৪ই জুন ২০২০ তারিখে স্যারের উপাচার্য পদের দায়িত্বের তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। স্যারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি, যাতে করে এই মহতী দায়িত্ব আরো অনেক সফলতার সাথে পালন করে যেতে পারেন।
শুভকামনায়
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য
লুবনা আক্তার
প্রভাষক
জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ,
চীফ মেন্টর
উইমেন পিস ক্যাফে, বেরোবি, রংপুর,
আহবায়ক
বঙ্গমাতা পরিষদ, বেরোবি, রংপুর,
নির্বাহী সদস্য
নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।