ভারতের আসাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরলেন ২৫ বাংলাদেশি

ভ্রমণ ভিসায় ভারতে গিয়ে করোনাকালে ভারতের জেলে বন্দি ২৫ বাংলাদেশি মুক্তি পেয়ে ১২৩ দিন পর দেশে ফিরেছেন। বুধবার দুপুর ২টায় লালমনিরহাট বুড়িমারি-চেংড়াবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরেন তারা সবাই কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্যাপারীপাড়া গ্রামের অধিবাসী।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ২টায় ভারতের কুচবিহার জেলায় অবস্থিত চ্যাংরাবান্ধা চেকপোস্ট হয়ে তারা বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত বুড়িমারী চেকপোস্ট দিয়ে দেশে আসেন। পরে তারা চেকপোস্টের বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে চিলমারীর উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এবং বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার ভিকটিম রেসকিউ কমিটির আহ্বায়ক এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ভারত সরকারের প্রসিকিউশন ওই বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ফরেনার্স আইনে মামলা কল অফ (প্রত্যাহার) করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ আগস্ট সবপক্ষের আইনজীবীদের শুনানির পর ধুবড়ি আদালতের বিচারক জেলহাজতে আটক ২৫ জন বাংলাদেশিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। আর মামলাটি নথিজাত করার আদেশ দেন।
এদিকে চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের অধিবাসী এবং রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান জানান, বৈধ পাসপোর্ট ও তিন মাস মেয়াদের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে চিলমারীর ব্যাপারীপাড়া গ্রামের ২৬ জন অধিবাসী চলতি বছরের প্রথম দিকে আসাম রাজ্যের জোরহাট এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে যান। এরপর করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে সেখানে আটকা পড়েন। এ অবস্থায় ভারতের দ্বিতীয় দফা লকডাউনের শেষ দিন ৩ মে কিছু সময়ের জন্য চেকপোস্ট খুলে দেয়া হবে এমন খবরের ভিত্তিতে বাড়ি ফেরার জন্য জোরহাট থেকে চেংরাবান্ধার উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা। কিন্তু পথিমধ্যে ধুবড়ি জেলার চাপোর থানা পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ফরেনার্স আইনে মামলা দিয়ে তাদের ধুবড়ি জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল।