
নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে মুয়াজ্জিনসহ ১১ জন মারা গেছেন। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, গুরুতর দগ্ধ আরও ২৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি গভীর শোকও প্রকাশ করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হোসাইন ইমাম বলেন, এখানে আসা ৩৭ জন রোগীর সবার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এছাড়া প্রত্যেকের সরকারি খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। রাতেই তিনি জুয়েল নামে ৭ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। শিশুটির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লার বাইতুছ সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় হঠাৎ বিকট শব্দে মসজিদের কাছের বৈদ্যুতিক ট্রানসফর্মারে বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের ভেতরে এসির বিস্ফোরণও ঘটে। মুহূর্তে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায়।