
লিওনেল মেসির দল-বদল ঘটনায় সাড়া পড়ে ছিল গোটা ফুটবল দুনিয়ায়। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বার্সেলোনার লজ্জার হারের পর ব্যুরোফ্যাক্সে ন্যু ক্যাম্প ছড়ার সিদ্ধান্ত জানান মেসি। এরপর ম্যানচেস্টার সিটিতে যাওয়ার গুঞ্জন, মেসির বাবার কাতালান কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক। নানা ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনায় থাকার সিদ্ধান্ত মেসির। গেলো ২০ দিনের এই নাটকীয় গল্পের বিস্তারিত
একটা ম্যাচ হয়তো ক্লাব বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে দিয়েছে। তবে পরোক্ষভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা ফুটবল দুনিয়াকে। কারণটাও নিশ্চয়ই কারো অজানা নয় এখন। ফুটবলের খুদে জাদুকর লিওনেল মেসির প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়া না ছাড়ার খবরে জল ঘোলা হয়েছে অনেক।
শেষ পর্যন্ত ক্লাবের প্রতি ভালবাসা দেখিয়ে ন্যু ক্যাম্পেই থেকে যাচ্ছেন লিও। তবে ১৫ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর। এই ২০ দিন রাত-দিন এক করে দিয়ে মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার কারণ খুঁজেছে। সত্যি কি মেসি ছেড়ে যাচ্ছেন শৈশব, কৈশোর আর যৌবনের সুন্দর সময়গুলো রেখে। হঠাৎ গণমাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে ব্যুরোফ্যাক্সে কাতালনিয়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।
ভক্ত সমর্থকরা আন্দোলনে নামেন। মেসিকে ন্যু ক্যাম্পে রাখতে দিন রাত এক করে দিয়ে ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয় হাজারো ভক্ত। গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যস্ততা বাড়ে ক্লাব বার্সেলোনা, ন্যু-ক্যাম্প থেকে মেসির বাড়ির সামনে।
মেসির দল বদল নিয়ে কথা বলতে তার এজেন্ট বাবা হোর্হে মেসি আসেন স্পেনে। ক্লাব কর্তাদের সাথে লম্বা আলোচনা করেন তিনি। অনেকটা বৃথা আলোচনা শেষে ফেরেন মেসির বাবা। যাওয়ার সুযোগ থাকছে না লিওনেল মেসির।
তবে একটা পথ খোলা ছিল। ক্লাব পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারতেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অ্যার জয়ী। এতে হয়তো ক্লাব ছাড়ার পথ মিলতো। কিন্তু প্রিয় ক্লাবকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাননি মেসি। তাই একটা বছর নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও থেকে যাওয়ার ঘোষণা দেন বার্সেলোনায়। এখন দেখার পালা এই এক বছরে বার্সেলোনায় কি ভূমিকায় থাকেন সুপারস্টার।