
দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ক্রেতাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ না কেনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বলেন, আতঙ্কিত হয়ে বেশি পেঁয়াজ কেনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুনাফা করছে ব্যবসায়ীরা।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী এক মাসের চাহিদা অনুযায়ী দেশে প্রায় ছয় লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে। আর এক মাস সময় পেলেই বিকল্প বাজার থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ এনে পরবর্তী চাহিদা মেটানো সম্ভব।
টিপু মুনশি বলেন, ভারত সরকারের পেঁয়াজ রফতানি না করার সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়েছে দেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। বছরে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে চার লাখ টন। তবে এ মুহূর্তে পেঁয়াজের কোথাও কোনও সংকট নাই। সাধারণ ক্রেতাদের আতঙ্কিত হয়ে বেশি প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন,তুরস্ক ও মিসর থেকে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে, অল্প কিছু দিনের মধ্যে এগুলোও দেশে পৌঁছবে। টিসিবি এবার বড় ধরনের পেঁয়াজের মজুত গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আগেই আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে এগুলো ক্রয় করা হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। ভোক্তারা পেঁয়াজ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হলে কোনো সমস্যা হবে না।
দেশে পণ্যের দাম হুট করে বেড়ে যায় এক্ষেত্রে আমাদের বাজার মনিটরিং কি করছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রথম কথা এটা আন্দাজ করা যায় না যে ভারত বন্ধ করে দেবে। যেকোনো পর্যায়ে ভারত থেকে সস্তায় আমাদের দেশে পেঁয়াজ আনা সম্ভব। ভারত থেকে আনতে খরচ পড়ে প্রতি কেজিতে ২০-২১ টাকা আর তুরস্ক থেকে সেটা পড়ে ৩২-৩৫ টাকা। বাস্তবতা হচ্ছে যেখান থেকে সস্তা হবে সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা আনবেন এবং ভোক্তারাও উপকৃত হবেন। যখন বন্ধ হয়ে গেল তখন দাম কোনো বিষয় নয়। কারণ আমাদের পেঁয়াজ লাগবে। ফলে আমরা যেখান থেকে পাই সেখান থেকেই আনবো। আমাদের এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় এক লাখ টন বেশি হয়েছে।
রিপোর্ট : আওয়ার বাংলাদেশ নিউস ২৪