
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় সরকারি ভাতার কার্ড পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কামরুল ইসলাম (৪০) নামে গ্রাম্য মাতব্বরের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন হতদরিদ্র এক স্বামী পরিত্যক্তা নারী। কামরুল ইসলাম চকখানপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের প্রধান মাতব্বর।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী রবিবার দুপুরের দিকে গ্রাম্য মাতব্বর কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার চকখানপুর গ্রামের দিনমজুরের মেয়ে (২৮) দীর্ঘদিন ধরে স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। তার অভাব-অনটনের সংসার। জীবিকার তাগিদে মেয়েটি মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ান। খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করেন। মেয়েটির অভাব-অনটনের সুযোগ নেন গ্রামের মাতব্বর কামরুল ইসলাম। তিনি মেয়েটিকে স্বামী পরিত্যক্তা সরকারি একটি ভাতার কার্ড পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
কার্ড পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন কামরুল ইসলাম। সম্ভ্রমহানির পরও মেয়েটিকে ভাতার কার্ড করে দেয়নি। এ অবস্থায় শনিবার রাতে মেয়েটির বাড়িতে যান মাতব্বর। এরপর মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন। রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন মাতব্বর কামরুল ইসলাম। ঘটনার পর থেকে মাতব্বর পলাতক।
বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বামী পরিত্যক্তা মেয়েটির অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।