
পদ্মা সেতুতে ৩২ নম্বর স্প্যান বসানো হয়েছে। এতে দৃশ্যমান হলো প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশ। সোমবার সকালে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় এই স্প্যানটি। এ নিয়ে সেতুটির ৪ হাজার ৮০০ মিটার অংশ দৃশ্যমান হয়েছে, যা যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্যের সমান।
এরআগে, দীর্ঘ চার মাস পর গতকাল স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে তীব্র স্রোতের কারণে দিনভর চেষ্টা করেও তা বসানো যায়নি। সাথে দিনের আলো কমে যাওয়ায় স্থগিত হয় কার্যক্রম।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি। আর ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৩২টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
বহুমুখী এ সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আওয়ার বাংলাদেশ নিউস ২৪