
চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে।
এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুতও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মৎস্যভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।
সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ইলিশের যে সাফল্য এসেছে, তা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
দেশের সব মানুষ এ কৃতিত্বের দাবিদার। আমাদের আন্তরিকতা, সততা, নিষ্ঠা ও আইনের কঠোর প্রয়োগের কারণে এ বছর ইলিশ আহরণে সাফল্য এসেছে। জাটকা সংরক্ষণ, মা ইলিশ সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, জাটকা নিধন বন্ধে কঠোর অবস্থান এবং মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ইলিশের এ সাফল্য।ইলিশ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।
মৎস্যসম্পদ রক্ষায় দায়িত্বপালনকারীরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সে জায়গায় আমরা কোন প্রতিকূলতা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবো না। যারা দেশের উন্নয়নের পথে বাধা, মৎস্য সম্পদের বিকাশের পথে বাধা, আমাদের পুষ্টি ও আমিষের দুর্জয় সাফল্যের পথে বাধা তাদেরকে কোনোভাবে আমরা ছাড় দেবো না।
তবে নদীতে যখন প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে তখন শুরু হচ্ছে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। এ নিয়ে জেলে পল্লীর লোকজনের মাঝে বিরাজ করছে হতাশাও। তাই মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ১৫ দিন সামনে এগিয়ে দেয়ার দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আওয়ার বাংলাদেশ নিউস ২৪