
আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও গোটা জগতকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই ছয় দিনের শেষ দিন ছিল জুমার দিন। কেয়ামতও এ দিনেই সংঘটিত হবে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, “নিঃসন্দেহে জুমার দিন সেরা দিন ও আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর কাছে তা ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম।”-ইবনে মাজাহ।
অন্য হাদিসে আছে, ‘‘যেসব দিনে সূর্য উদিত হয়েছে এরমধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমার দিন।’’ জুমার দিনকে মুসলমানদের ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
জুমার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘‘এক জুমা থেকে অপর জুমা উভয়ের মাঝের (গোনাহের জন্য) কাফফারা হয়ে যায়, যদি কবিরা গোনাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়ে থাকে।”-মুসলিম
রাসুল (সা.) অন্য হাদিসে বলেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করে সকাল সকাল মসজিদে আসবে এবং ইমামের নিকটবর্তী হবে এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনবে ও চুপ থাকবে তার জুমার সালাতে আসার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের নামাজ ও রোজা পালনের সওয়াব হবে।-তিরমিজি
জুমার দিনের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল:
1: জুমার দিন গোসল করা। যাদের ওপর ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুল সা. ওয়াজিব বলেছেন।
2: উত্তম পোশাক পরিধান করে সাধ্যমতো সাজসজ্জা করা।
3: মুসল্লিদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা।
4: মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা এবং খুতবা চলাকালীন চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব।
5: আগে থেকেই মসজিদে যাওয়া।
6: সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
7: জুমার দিন ও জুমার রাতে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।
8: নিজের সবকিছু চেয়ে এ দিন বেশি বেশি দোয়া করা।
9: কেউ মসজিদে কথা বললে ‘চুপ করুন‘ এতোটুকুও না বলা।
10: মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন না খাওয়া ও ধূমপান না করা।
আওয়ার বাংলাদেশ নিউস ২৪