
নানা কারণে হৃৎপিণ্ডের পাম্প করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। অনেক সময় অক্সিজেনের ঘাটতিতে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। ডাক্তাররা হার্ট ফেলিওরকে অসুখ না বলে বলেন একটি সিনড্রোম।
হার্ট ফেলিওর বা হার্টের ব্যর্থতা কী?
হার্ট ফেলিওর বা হার্টের ব্যর্থতা হল হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলোর কিছু ক্ষতি হওয়ার ফলাফল যা কার্যকরভাবে রক্ত পাম্প করার ক্ষমতাকে কম করে এবং সর্বোত্তম রক্ত সঞ্চালনের চেয়ে কম রক্ত সঞ্চালনের কারণে এটি অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে শরীরের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।
হার্ট ফেলিওরের লক্ষণ
হতোদ্যম হয়ে পড়লে কিংবা শুয়ে থাকবার সময়ের নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
রাতে বার বার প্রস্রাব পাওয়া
দুর্বলতা এবং অবসাদ
অনিয়মিত অথবা দ্রুত হৃৎস্পন্দন
পা, গোড়ালি এবং পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া (এডেমা)
কাশির সঙ্গে কালচে লাল বা সাদা রক্তযুক্ত কফ বেরোনো
পেট ফুলে যাওয়া (অ্যাসিটেস)
শরীর তরল ধরে রাখবার ফলে হটাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া
খাবারে অনীহা এবং গা গোলানো
গুরুতর বা আচমকা নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
কালচে লাল কাশির সাথে ফেনার মতন শ্লেষ্মা
হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায় কেন
* হার্টের পেশি দুর্বল হয়ে গেলে পাম্প করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। অনেকগুলো কারণ এর জন্য দায়ী।
* হাই ব্লাড প্রেশার থাকলে হার্টকে অনেক বেশি পাম্প করতে হয়। সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়েও পেশি ক্রমশ ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।
* স্লিপ অ্যাপনিয়া অর্থাৎ নাক ডাকার অসুখ থাকলেও এই সমস্যার ঝুঁকি থাকে। হৃৎপিন্ডের জন্মগত ত্রুটির কারণে হার্টের চারটি চেম্বারে রক্ত চলাচল বিঘ্নিত হলেও এই
অসুখের ঝুঁকি বাড়ে।
* অ্যারিথমিয়া— অর্থাৎ হার্টের ছন্দ স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি হলেও হার্ট ফেলিওর হতে পারে।
* বিভিন্ন ওষুধের (কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত) পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, মদ্যপান, সংক্রমণ সহ নানা কারণে কার্ডিওমায়োপ্যাথি নামক অসুখ হলেও হার্ট ফেলিওর হতে পারে।
বয়সজনিত কারণে অনেকেই হার্ট ফেলিওরের শিকার হন। তবে অল্প বয়স্করা, যাদের ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের মতন রোগ রয়েছে তারাও হার্ট ফেলিওরের শিকার হতে পারেন। এ ছাড়াও কারও পরিবারে আগে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ইতিহাস থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম এই দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
আওয়ার বাংলাদেশ নিউস ২৪