কোয়ারেন্টাইন ব্যর্থতা,বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে: ডব্লিউএইচও
বার্তা সম্পাদক : মেহেদী হাসান

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মনে করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হলো সন্দেহভাজন আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে না পারার ব্যর্থতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক পরিচালক ড. মাইকেল রায়ান বলেছেন, সামর্থ্য থাকলে তিনি প্রতিটি নিশ্চিত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সবাইকে সঠিক মেয়াদে কোয়ারেন্টাইনে রাখতেন।সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারি করোনা ভাইরাসের শুরুর দিক থেকে এর বিস্তার রোধে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিন পর্যন্ত আলাদা রাখা বা কোয়ারেন্টাইনে থাকার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ভাইরাসটির কার্যকর ও স্বীকৃত কোনও প্রতিষেধক না পাওয়া পর্যন্ত সংক্রমণ ঠেকাতে এই প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়ে আসছে সংস্থাটি। তারপরও গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
ডব্লিউএইচও কর্মকর্তা ড. মাইকেল রায়ান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না, কোনো জায়গাতেই সঠিকভাবে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।’ আর সেটিই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আওয়ার বাংলাদেশ নিউস ২৪