আন্তর্জাতিকজাতীয়রাজনী‌তিসবসারা দেশস্বাস্থ্য

একনজরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন

মো: ছামিউল হোসেন

শেয়ার করুনঃ

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। মানিকগঞ্জ-৩ থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত জাহিদ মালেক মহাজোট সরকারের গত মেয়াদে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবার তিনি হলেন একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে ১৮ বছর পর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পেলেন মানিকগঞ্জবাসী।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৫৯ সালের ১১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন জাহিদ মালেক। তার বাবা মরহুম কর্নেল (অব.) আব্দুল মালেক ছিলেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। এরশাদ সরকারের আমলে মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তার মায়ের নাম ফৌজিয়া মালেক।
জাহিদ মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণ কাজের সঙ্গেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। তিনি ঢাকাসহ মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সমাজ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি দেশের একজন স্বনামধন্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।

ইতিপূর্বে ১৯৮৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম লি., সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি., বিডি থাইফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি., রাহাত রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লি., বিডি সানলাইফ ব্রোকারেজ হাউস লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

তিন সন্তানের জনক জাহিদ মালেকের সহধর্মিণীর নাম মিসেস শাবানা মালেক। স্ত্রীসহ সন্তানরা তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

জাহিদ মালেক ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে মানিকগঞ্জ-৩ আসনে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন। কিন্তু বিএনপি প্রার্থী হারুনার রশিদ খান মুন্নুর কাছে হেরে যান তিনি।

তবে ২০০৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে হারুনার রশিদ খান মুন্নুকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
জাহিদ মালেক স্বপন গত নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে দুই লাখ ২০ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।


শেয়ার করুনঃ
Show More

সম্পর্কিত খবর

১০ Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button